গত বছরের চেয়ে পূজামণ্ডপ বেড়েছে ৬৮২টি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক জানিয়েছেন, গত বছরের চেয়ে এবার পূজামণ্ডপ বেড়েছে ৬৮২টি। আজ দুপুরে রাজধানীর পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। ওই সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি দুর্গাপূজা ও আশুরায় নিরাপত্তা সম্পর্কে কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘আসন্ন দুর্গাপূজা ও আশুরা উপলক্ষে বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, র্যাবের ডিজিসহ পূজা উদযাপন কমিটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও হোসেনী দালানের নেতাদের সঙ্গে বসে মতবিনিময় করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লক্ষ্য একটাই, যেন পূজা ও আশুরা এই দুই উৎসব নিরাপদে পালিত হয়। আর এ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব ও সীমান্ত এলাকায় বিজিবি মোতায়েন থাকবে।’
আইজিপি আরো জানান, পুলিশ-র্যাব, বিজিবি ছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপে আনছার মোতায়েন করা হবে। পূজামণ্ডপ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, কারণ তালিকা অনুযায়ী এ বছর পূজামণ্ডপ ৩০ হাজার ৬২৬টি। এবার গত বছরের চেয়ে ৬৮২টি পূজামণ্ডপ বেশি।
আইজিপি বলেন, ‘দিন দিন পূজামণ্ডপ বাড়ার কারণ, মানুষের মধ্যে নিরাপত্তার বোধ জেগেছে। আর ধর্মকর্মের প্রতি আগ্রহ বেশি হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে পূজা শুরু হবে আর শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। আর একইদিনে আশুরার তাজিয়া মিছিলও বের হবে।’
আইজিপি আরো জানান, ‘দুই ধর্মাবলম্বীদের দুটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান যাঁরা পালন করবেন, তাঁদের মধ্যে যেন কোনো রকম ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি না হয়, সে জন্য দুই সম্প্রদায়ের লোকজনকে একসাথে ডেকে নিয়ে কথা বলছি। সমন্বয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠান দুটি পালন হবে। গত বছর তাজিয়া মিছিলে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল বিশেষ করে ছুরি, কাঁচি, বল্লম না নিতে। সেগুলো তারা নেয়নি, তাই এবারও আশা করা হচ্ছে এই সকল নির্দেশনা মেনে তারা মেনে চলবেন। নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা দুটি জিনিস মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপ পুলিশের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করবেন।’
তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘তাজিয়া মিছিলে যারা অংশ নেবে বা যারা হোসেনী দালানে যাবে, তাদের প্রত্যেককে তল্লাশি করে ঢোকানো হবে। কোনো ব্যাগ নিয়ে কেউ ঢুকতে পারবে না ও শরীর তল্লাশি করা হবে।’