‘শেষ আইনি চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত যাব’
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আমি আপিল বিভাগের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সংসদ তার অভিমত প্রকাশ করেছে। এই মামলার শেষ আইনি চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত যেতে হবে, আমরা শেষ আইনি চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত যাব।’
আজ শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা মহিলা ডিগ্রি কলেজের নবনির্মিত চারতলা ভবন উদ্বোধন ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা শেষে কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে ষোড়শ সংশোধনী এনেছিলাম। ৭২-এর সংবিধানে যা ছিল এই ষোড়শ সংশোধনীতে দাড়ি-কমাটা পর্যন্ত তাই আছে। সে কারণে ওনারা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দুইটা মামলা করে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দিলেন। এই মামলা এখনো আছে এবং সংসদ তার অভিমত প্রকাশ করেছে যে এই মামলার শেষ আইনি চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত যাবে।’
কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ কে এম বদিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূঁইয়া, পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল কায়সার জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা ইসলাম ও কসবা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. তসলিম মিয়া।
অনুষ্ঠানে কসবা মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়া কসবা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল।
গত ১ আগস্ট বিচারপতিদের অপসারণ-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এর আগে ৩ জুলাই বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনীতে, যা ষোড়শ সংশোধনী নামে পরিচিত, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ন্যস্ত করা হয়। এর আগে এ ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে ছিল।