১১ প্রস্তাব দেবে আওয়ামী লীগ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আজ বুধবার বেলা ১১টায় সংলাপে বসছে আওয়ামী লীগের ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এ সংলাপে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংলাপে অংশ নেবেন দলের এমন কয়েকজন প্রতিনিধি এনটিভি অনলাইনকে এটি নিশ্চিত করেন।
সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইসির স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, ইলেকট্রনিক ভোটিং (ই-ভোটিং) পদ্ধতিতে ভোট অনুষ্ঠান, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন দলের নেতারা। তবে গত রোববার বিএনপির সঙ্গে বসা সংলাপে সিইসি কে এম নুরুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে 'বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা' বলে যে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, সে বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই বক্তব্যের পর দলের নেতারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও দলীয়ভাবে কিছু বলার সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি আওয়ামী লীগ।
সংলাপে কী প্রস্তাব দেওয়া হবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আসলে আমরা তো আমন্ত্রণ জানাইনি, নির্বাচন কমিশন আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা আগে তাদের বক্তব্য শুনব। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, আমরা আমাদের প্রস্তাব করব। তবে আমাদের বক্তব্য তো আর ভিন্ন কিছু হবে না। নির্বাচন কমিশন যাতে স্বচ্ছ ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সে জন্য আমরা কিছু প্রস্তাব করব। আর নির্বাচন পদ্ধতি, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আমরা যা বলেছি, এখানেও ভিন্ন কিছু বলব না।’
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা ই-ভোটিং পদ্ধতির পক্ষে থাকব। এ পর্যন্ত আমাদের দেশের যে পরিস্থিতি, সে বিবেচনায় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি না।’
সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘সংলাপে কী প্রস্তাব করা হবে, তা আমাদের দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে যে প্রতিনিধিদল যাবে, তারা জানেন। তবে আমাদের দল তো একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করেছে। তা হলো সংবিধানের ওপর পূর্ণ আস্থা। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সে জন্য সে প্রতিশ্রুতি তো আওয়ামী লীগেও আছেই।’
সংলাপে বিএনপি ইসির কাছে ২০ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরে। সিইসি কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এ সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।
ইসি সঙ্গে বিএনপির যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, ‘সামনে আওয়ামী লীগের সঙ্গেও ইসির সংলাপ আছে। আমরা সংলাপে ১১ দফা উত্থাপন করব। সেগুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হবে।’
গত রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব নজরুল ইসলামের যোগদান ও সদ্য বিদায়ী সচিব এম এ এন ছিদ্দিকের বিদায় অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এরপর ২৪ আগস্ট থেকে কমিশনে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করবে এমন প্রত্যাশা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে কমিশন। এ পর্যন্ত ৩৫টি দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে।