‘ডিবির সাত সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’
কক্সবাজারে অপরাধ করে ধরা পড়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাত সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
আজ বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন এ কে এম শহীদুল হক। আগামী ২৮ অক্টোবর কমিউনিটি পুলিশ দিবস উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শহীদুল হক বলেন, ‘অপরাধ যেকোনো জায়গায়, যে কেউ করতে পারে। আমাদের পুলিশের মধ্যে কক্সবাজারে করেছে না? অপরাধ একটা রোগ। তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আইজিপি আরো বলেন, ‘কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক আন্দোলন। এরা যেন রাজনীতিতে না জড়ায় বা বিতর্কে না জড়ায়, সে জন্য আমরা সতর্ক থাকব।’
কমিউনিটি পুলিশিং সরকারদলীয় হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘এটি সর্বদলীয় করার লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করে চলেছে।’
আইজিপি আরো বলেন, অপরাধ নির্মূল করতে কমিউনিটি পুলিশকে আরো কার্যকর করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বুধবার ভোররাতে টেকনাফে ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা আদায় করার পর একটি মাইক্রোবাসে কক্সবাজারে যাওয়ার পথে সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে তল্লাশির সময় টাকাসহ সাত পুলিশকে আটক করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ডিবি পুলিশের এক উপপরিদর্শক পালিয়ে যান।
এর আগে এই সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি।
অভিযুক্ত ডিবি পুলিশের সদস্যরা হলেন উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদ, সহকারী উপপরিদর্শক ফিরোজ, মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং কনস্টেবল আলামিন ও মোস্তফা আজম।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন জানান, টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদী হয়ে অভিযুক্ত ডিবি পুলিশের সাত সদস্যকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি থানায় রুজু করে আজ সকালে কক্সবাজার আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।