বাড্ডায় বাবা-মেয়ে হত্যার পেছনে কী?
রাজধানীর বাড্ডায় বাবা-মেয়ে খুনের ঘটনাটিকে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার বাড্ডার হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্ব আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য নিহত জামিলের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
স্ত্রীকে সন্দেহ করা হচ্ছে কেন? জানতে চাইলে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, কারণ জামিলের স্ত্রীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ঘরের ভেতর থেকে কেউ খুনিকে সহযোগিতা করেছে। তা না হলে এভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটানো সম্ভব হতো না। এসব নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে আটক করা হয়েছে।
নিহত জামিল ও তাঁর মেয়ে নুসরাতের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, তাঁরা মাসখানেক আগে বাসাটি ভাড়া নেন।
কৃষ্ণপদ রায় জানান, জামিল যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন, সেখানে সাবলেট থাকা পরিবারটি ঘটনার পরপরই বাসা থেকে বের হয়ে চলে গেছে। এর পর থেকে তাদের কোনো খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না।
ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে জামিলকে হত্যা এবং তাঁর শিশুসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান কৃষ্ণপদ রায়। তিনি বলেন, হত্যা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরে জানা যাবে।
কাকরাইলের মা-ছেলে হত্যা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনা দুটি সম্পূর্ণ আলাদা। একটির সঙ্গে আরেকটির কোনো যোগসূত্র নেই। তবে দুই ঘটনাতেই পারিবারিক কোনো টানাপড়েন আছে বলে মনে হচ্ছে।
আজ সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার ৩০৬ ময়নারবাগ পাঠানবাড়ী কবরস্থানের মসজিদসংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে জামিল (৩৮) ও তাঁর মেয়ে নুসরাতের (৯) লাশ উদ্ধার করা হয়।