কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যায় অভিনেত্রী মুক্তা আটক
রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলে খুন হওয়ার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রী শারমিন আক্তার মুক্তাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। মুক্তা নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আব্দুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী।
চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী মুক্তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য জানা গেছে। তবে কী কারণে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রমনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপকমিশনার নাবিদ কামাল এনটিভি অনলাইনকে এসব কথা জানিয়েছেন।
নাবিদ কামাল আরো জানান, এর আগে সকালে নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম, গৃহকর্মী রাশেদা ও দারোয়ান নোমানকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আবদুল করিম তিনটি বিয়ে করেছেন। নিহত শামসুন্নাহার করিম তাঁর প্রথম স্ত্রী। এরপর তিনি আরেকটি বিয়ে করছিলেন। কিন্তু বছর চারেক আগে সেই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে মুক্তাকে বিয়ে করেন।
আব্দুল করিমের সেই দ্বিতীয় স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুঁজছে পুলিশ।
আটক মুক্তা সিনেমায় অভিনয় করতেন। সিনেমা প্রযোজনা করতে গিয়ে মুক্তার সঙ্গে পরিচয় হয় আবদুল করিমের। এরপর তাকে বিয়ে করেন তিনি। তবে প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহারকে তালাক দেননি তিনি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কাকরাইলের ৭৯/১ বাসভবনের পাঁচতলার নিজ ফ্ল্যাট থেকে মা শামসুন্নাহার ও তাঁর ছেলে শাওনের লাশ উদ্ধার করা হয়।