কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যা : জনি রিমান্ডে
রাজধানীর কাকরাইলে শামসুন্নাহার ও তাঁর ছোট ছেলে শাওন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আল আমিন ওরফে জনিকে ছয়দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীব এ আদেশ দেন।
জনি হচ্ছেন নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তার ভাই।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক আলী হোসেন আসামি জনিকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
গতকাল শনিবার গোপালগঞ্জ থেকে আল আমিন ওরফে জনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের দাবি, গ্রেপ্তার জনিই মা-ছেলে হত্যার মূল হোতা।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
মুফতি মাহমুদ জানান, চারদিন আগে আবদুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী সুইসাইড করার একটি পরিকল্পনা করেন এবং তখন যে বাসাতে মুক্তা অবস্থান করছিলেন, সেখানে আবদুল করিম ও মুক্তার ভাই জনিও ছিলেন। তাঁরা মুক্তাকে আত্মহত্যা থেকে রক্ষা করেন। মুফতি মাহমুদ বলেন, ‘এই ঘটনাটিই ছিল আসলে মূল বিষয়। সেদিনই কিন্তু সে (আল আমিন) প্ল্যান করে যে যার প্রেক্ষিতে তার বোন আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল, সে ক্ষেত্রে সে একটি হত্যার পরিকল্পনা করে।’
মুফতি জানান, এরপরই একটি ছুরি কিনে বুধবার শামসুন্নাহারের কাকরাইলের বাড়ি যান জনি। সেখানে তিনি বাড়ির গৃহকর্মীকে রান্নাঘরে আটকে একাই মা-ছেলেকে হত্যা করেন বলেও স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
শামসুন্নাহারের বড় ছেলে মিশু ও মেজো ছেলে অনিক বিদেশে থাকায় মরদেহ দুটি হিমঘরে রাখা ছিল। আজ তাঁরা দেশে ফেরার পর জানাজা শেষে দাফন করা হয় শামসুন্নাহার ও শাওনকে।
এ হত্যার ঘটনায় নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম ও তাঁর তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তাকে ছয়দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
গত বুধবার রাজধানীর কাকরাইলের ৭৯/১ নম্বর বাসভবনের পাঁচতলার নিজ ফ্ল্যাট থেকে মা শামসুন্নাহার ও তাঁর ছেলে শাওনের লাশ উদ্ধার করা হয়।