পুলিশ-র্যাবে লোক বাড়িয়ে লাভ নেই : সুরঞ্জিত
পুলিশ ও র্যাবে লোক বাড়িয়ে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। তিনি বলেছেন, বিচারক না বাড়ালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভঙ্গুর ও খারাপ হবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ মন্তব্য করেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বিচারক সংকটের কারণেই দেশের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে বাধ্য হবে। বর্তমানে ৩০ লাখ মামলা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। এক লাখ ৫২ হাজার মানুষের জন্য রয়েছেন মাত্র একজন বিচারক। বিচারকহীন এ ব্যবস্থায় মামলা জট কমানো যাবে না। এ জন্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সব বার কাউন্সিলের সদস্য ও জজদের নিয়ে মিটিং করা হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বৈঠকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নিষ্পত্তিতে অস্বাভাবিক বিলম্ব হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এই হত্যা ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে জানানো হয় এই গ্রেনেড হামলা মামলার অভিযোগপত্র ও সম্পূরক অভিযোগপত্রে মোট সাক্ষী ৪৯১ জন। এরই মধ্যে দুটি মামলার প্রত্যেকটিতে ১৬৭ জন করে ৩৩৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হচ্ছে। কমিটি সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশ করে।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, ‘এর আগেও সংসদীয় কমিটি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হামলা দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশ করেছিল। কিন্তু তবুও মামলাটি নিষ্পত্তি হচ্ছে না। কমিটি এ ব্যাপারে আবার তাগিদ দিয়েছে।’
এ ছাড়া বৈঠকে বিচার ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত পেশাজীবীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম সম্প্রসারণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, শামসুল হক টুকু, আব্দুল মজিদ খান, তালুকদার মো. ইউনুস, অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউল হক মৃধা ও সফুরা বেগম অংশ নেন। আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইন কমিশনের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।