আওয়ামী লীগের উপকমিটিতে সম্পাদক পদ থাকছে না!
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটিতে সম্পাদক ও সহসম্পাদক থাকছে না বলে একাধিক সূত্র এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে উপকমিটিতে সম্পাদক ও সহসম্পাদক পদের একটা চূড়ান্ত তালিকা আওয়ামী লীগ দপ্তরে ছিল। বিষয়টা দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। দলের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে এরই মধ্যে এ সিদ্ধান্তটি স্থগিত করা হয়েছে। তবে উপকমিটিতে ৩০ অনধিক সদস্যদের তালিকা যেকোনো সময় প্রকাশ হবে।
আওয়ামী লীগের দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, এটা আসলে দলের সিদ্ধান্ত। দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত। বিগত দিনে যাঁরাই সহসম্পাদক পদে ছিলেন, তাঁরাই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিপরীতে গিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা ভেবেছে। আগামী নির্বাচন হবে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। দলে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, তা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত মাসে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছিলেন, ‘সহসম্পাদকদের সংখ্যা হবে অনূর্ধ্ব ১০০ জন। ১৯টি সম্পাদকীয় বিভাগে তিনজন করে ৫৭ জন, চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আট সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে আরো তিনজন করে ৩৬ জন সহসম্পাদক মনোনীত হবেন।’
দলটির দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেছিলেন, ‘সহসম্পাদকদের নামের খসড়া তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হবে।’
এ বিষয়ে পুনরায় বাহাউদ্দিন নাছিম ও আবদুস সোবহান গোলাপকে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫-এর ১-এর চ ধারা অনুযায়ী, ‘আ.লীগ প্রত্যেক সম্পাদকীয় বিভাগের কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল ও সমন্বিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি সম্পাদকীয় বিভাগের একটি করিয়া উপকমিটি গঠন করিবে। উক্ত উপকমিটি একজন চেয়ারম্যান, একজন সম্পাদক, অনূর্ধ্ব পাঁচজন সহসম্পাদক, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে।’
দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সহসম্পাদক না বলে আমরা বলি বিভাগীয় উপকমিটি। এটির প্রতি দেশের বিরাট সংখ্যক নেতা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের সিভি যাচাই বাচাই প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে কবে ঘোষণা হবে বা হবে না সেটা বলতে পারবে দলের হাই কমান্ড।’
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এটা আসলে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ের সব তথ্য প্রকাশ করতে চাই না। এটা একান্তই আমাদের দলীয় ব্যাপার। এতকুটু বলা যায়, আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী ও অভিজ্ঞ দল। আওয়ামী লীগ যা করে ভেবেচিন্তেই করে।’