প্রচণ্ড বাতাসে নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে যায়
খুলনায় শিশু রাকিব হত্যার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের হাতে এসেছে। প্রতিবেদনে প্রচণ্ড বাতাসে শরীরের অভ্যন্তরে (গলা থেকে মলদ্বার পর্যন্ত) অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, ক্ষুদ্রান্ত ও বৃহদান্ত এবং প্রস্রাবের থলি ফেটে যাওয়াকেই মৃত্যুর মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
urgentPhoto
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন শিশু রাকিবের লাশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। বিশেষ বাহক মারফত আজ শনিবার প্রতিবেদনটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিকেলে বিশেষ বাহক মারফত প্রতিবেদনটি তাদের হাতে এসেছে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘কম্প্রেসার মেশিনের প্রচণ্ড বাতাসের রাকিবের মলদ্বার, নাড়ি, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্ত ও প্রস্রাবের থলি ফেটে যায়। এতে পেটের ভেতরে অতিমাত্রায় রক্তক্ষরণ হয়। রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়।’
‘পেটের মধ্যে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া প্রচণ্ড বেগে বাতাস ভেতরে প্রবেশ করায় শিশুটির ফুসফুস চুপসে এবং দুই হাতের ১০টি আঙুল, হাতের কবজি এবং দুই পায়ের গোড়ালিতে কালসিরা (রক্ত জমাট) হয়ে যায়।’
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, বাতাসের আঘাতে শিশু রাকিবের পেটের মধ্যে মলদ্বার থেকে গলা পর্যন্ত ১১টি স্থানে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে। মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
গত ৩ আগস্ট রাতে খুলনা টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডে গ্যারেজে কাজ ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে মোটর টায়ারে পাম্প দেওয়ায় পাইপ মলদ্বারে প্রবেশ করিয়ে হত্যা করা হয় রাকিবকে (১২)। এ ঘটনায় গ্যারেজ মালিক মিন্টু, তাঁর ভাই শরীফকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। পুলিশি পাহারায় তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
মিন্টু ও শরিফের মা মা বিউটি বেগমকেও পুলিশের হাতে দেওয়া হয়। তিনি এরই মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।