এইচএসসির ফল
সিলেটে পাসের হার, জিপিএ ৫ কমেছে
গত বছরের তুলনায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার পাসের হার ও জিপিএ ৫ কমেছে। এবার পাসের হার ৭৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। কিন্তু গতবার ছিল ৭৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।
পাসের হারের সঙ্গে জিপিএ ৫-এর সংখ্যাও কমেছে। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে মাত্র এক হাজার ৩৫৬ জন শিক্ষার্থী। অথচ গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল দুই হাজার ৭০ জন শিক্ষার্থী।
আজ রোববার দুপুরে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবদুল মান্নান খান এইচএসসি পরীক্ষার আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করেন।
সিলেট বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বোর্ডের অধীনে মোট ৫৭ হাজার ৭০২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত বছর বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৫৬১ জন। সে হিসেবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১৪১ জন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কলেজের সংখ্যা ছিল ২০৩টি। এবার কলেজের সংখ্যা ২৩১টি। কলেজের সংখ্যা বেড়েছে ২৮টি। এবারও পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।
ছেলে-মেয়েদের পাসের হার
পরীক্ষায় ৩১ হাজার ৪৫ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৩ হাজার ৩০৭ জন। মেয়েদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ০৭ ভাগ। এবার ২৬ হাজার ৬৫৭ জন ছেলে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৯ হাজার ৭২১ জন। ছেলেদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৮ ভাগ।
কোন বিভাগে কত পরীক্ষার্থী
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার সাত হাজার ৮৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ছয় হাজার ২৮৬ জন। এ বিভাগে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৭৫ ভাগ।
মানবিক বিভাগ থেকে এবার ৩৯ হাজার ৩৪৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৭ হাজার ৭৯৩ জন। পাসের হার ৭০ দশমিক ৬৪ ভাগ।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এবার ১১ হাজার ২৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে আট হাজার ৯৪৯ জন। এ বিভাগে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৩৮ ভাগ।
কোন বিভাগ থেকে কত জিপিএ ৫
এবার তিন বিভাগে ১৩৫৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৯৩৮ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ১৫০ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২৬৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। জিপিএ ৫ পাওয়াদের ৭৯৮ জন ছেলে এবং ৫৫৮ জন মেয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে।
২০১৪ সালে তিন বিভাগে ২০৭০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছিল। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এক হাজার ২৫১ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ৩২৪ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৪৯৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছিল। জিপিএ ৫ পাওয়াদের এক হাজার ১৮৭ জন ছেলে এবং ৮৮৩ জন মেয়ে শিক্ষার্থী ছিল।
অন্যান্য জিপিএর হার
এবার মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ গ্রেডে তিন হাজার ৫৪ জন, এ মাইনাস গ্রেডে তিন হাজার ৪৬১ জন, বি গ্রেডে চার হাজার ৪৮৪ জন, সি গ্রেডে সাত হাজার ২৭ জন ও ডি গ্রেডে ৮৮৭ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
ফলাফলের এ অবনতিকে ব্যর্থতা বলতে নারাজ শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবদুল মান্নান খান বলেন, এবার সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ ৫ কিছুটা কমেছে সত্য। তবে দেশের সার্বিক ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সিলেটের ফলাফল খারাপ হয়নি।