বাড়ি ফিরছে মুক্তামনি, তবে
সম্পূর্ণ সুস্থ না হয়েই বাড়ি ফিরছে রক্তনালিতে টিউমারে আক্রান্ত মুক্তামনি। আজ বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র দিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। আগামীকাল শুক্রবার ভোরে মুক্তামনি তার পরিবারের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা যাবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, মুক্তামনির জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। তার আরো চিকিৎসা দরকার। তবে কোনো অস্ত্রোপচার করতে হবে না। তিনি জানান, এক মাস পর মুক্তামনিকে আবার আসতে হবে। এভাবেই ফলোআপ করতে হবে তাদের। মুক্তামনি ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি যাওয়ার জন্য বেশ উদগ্রীব, তাই তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘মুক্তামনির ছাড়পত্র পেয়েছি। আগামীকাল শুক্রবার আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। তবে এক মাস পরে আবার হাসপাতালে আসতে হবে।’
গত ১১ জুলাই সাতক্ষীরা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তামনিকে সরকারি উদ্যোগে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুটির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসার খরচ বহনের কথা জানান।
মুক্তামনিকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে তার শরীরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রতিবেদন দেখেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা এ ধরনের জটিল অস্ত্রোপচারে করতে আগ্রহী নন বলে জানান। তখন ঢামেকের চিকিৎসকরাই সাহস করে মুক্তা মনির অস্ত্রোপচারে এগিয়ে আসেন।
মুক্তামনির বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামে। তার বয়স এখন ১২ বছর। ছয় মাস বয়সে তার ডান হাতে একটি গোটা দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে সেটি তার হাত থেকে বড় হয়ে যায়। ফলে চলাফেরা করতে সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় তিন বছর ধরে সে বিছানায় ছিল।