জনকণ্ঠ সম্পাদকের আদালত অবমাননার অভিযোগের রায় আজ
দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আজ বৃহস্পিতবার রায় দেওয়া হবে।
গত সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বেঞ্চ এ বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে ১৩ আগস্ট রায়ের দিন ধার্য করেন। ওই দিন জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদককে রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
গত ১০ আগস্ট আদলাত অবমাননার রুলের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায় ঘোষণার আগেই দৈনিক জনকণ্ঠ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা আদালত অবমাননার শামিল। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে রায়কে প্রভাবিত করা হয়েছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচারপতিদেরও একটা ইথিকস (নীতি) আছে। এর বাইরে একজন বিচারপতি যেতে পারেন না। প্রধান বিচারপতি সারা দেশের বিচারপতিদের সঙ্গেই বিচারিক কাজের স্বার্থে কথা বলে থাকেন। কিন্তু তা মোবাইলে রেকর্ড করে প্রতিবেদন প্রকাশ করার মতো বিষয় সাংবাদিকতার ইথিকসে পড়ে না। প্রধান বিচারপতি অন্য বিচারপতিদের সঙ্গে কথা বলবেন- এটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়।’
এ সময় জনকণ্ঠের আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন আদালতকে বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যে কনভারসেশনটা (কথোপকথন) হয়েছে এ বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ বিচারপতিদের ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করার অধিকার আপনাদের নেই। এভাবে চললে প্রধান বিচারপতি তো কারো সঙ্গেই কথা বলতে পারবেন না। তাহলে বিচারাঙ্গন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? প্রধান বিচারপতি মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীদের মতো না যে তিনি শেখ হাসিনার সরকারের ইচ্ছায় ব্যবহার হবেন।’
এ পর্যায়ে শুনানি শেষে আগামী ১৩ আগস্ট আদালত অবমাননার রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১৬ জুলাই জনকণ্ঠের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। বিচারাধীন বিষয়ে লেখা প্রকাশ করায় গত ২৩ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে তলব করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে জনকণ্ঠের এ দুই সাংবাদিককে কেন দণ্ড দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেন আদালত।