৫ জানুয়ারি আ. লীগের জন্য কলঙ্কের দিন : ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্য ৫ জানুয়ারি সবচেয়ে কলঙ্কের দিন। আজ শুক্রবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘চুপ করে বসে থাকলে হবে না। গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। গণজাগরণে মুক্তি। আজকে দিন কলঙ্কের দিন তো বটেই। আমার সবচেয়ে দুঃখ হচ্ছে আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে কলঙ্কিত দিন। আওয়ামী লীগের মতো পার্টি আজকে কোন জায়গায় পৌঁছেছে। দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছে যে পার্টি আজকে তাদের র্যাব, পুলিশ, বন্দুক দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে ডেমোক্রেটিক ফোর্সের আন্দোলন সহজ নয়, আমাদের দীর্ঘ লড়াই করতে হবে। কোনো কিছুকে হালকা করে নেওয়ার উপায় নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। গ্রামগঞ্জে জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। একজোট হয়ে আন্দোলন করতে হবে, এর জন্য খালেদা জিয়ার বিকল্প নেই।’
২০১৮ সালকে বিএনপির বছর উল্লেখ করে ফখরুল বলেন,’ সরকার অবলীলায় মিথ্যা কথা বলে আসলে তারা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তবে ইতিহাস বলে, বাংলাদেশের মানুষ এ অন্যায় প্রতিহত করেছে। আগামীতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আমরা বলেছি, ২০১৮ সাল হবে বেগম জিয়ার বছর, বিএনপি'র বছর, জনগণের বছর, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বছর। আন্দোলন করে আমরা তা অর্জন করবো।‘
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বিএনপি ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্দলীয় সরকার বা সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবি জানায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ দাবি মেনে নেয় না। তখন নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। ফলে নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ১৫৩টি আসনে সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হন। বাকি ১৪৭ জন সংসদ সদস্য জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। এর আগের সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল বিএনপি।
সেই থেকেই ৫ জানুয়ারিকে বিএনপি পালন করে আসছে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ পালন করে ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ হিসেবে। তারই ধারাবাহিকতায় এই বছরও ৫ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য আবেদন করেছিল বিএনপি। কিন্তু উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে ঘরোয়া পরিবেশে অনুষ্ঠান করা যাবে বলে জানানো হয়।