১৪৪ ধারা জারি প্রমাণ করে, সরকার জনগণকে অবজ্ঞা করে
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পাঁচটি স্থানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার বিরোধীদলহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতেই বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করছে। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, দখল, বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ১৪৪ ধারা জারি করে বিএনপির সভা-সমাবেশ পণ্ড করা অব্যাহত রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে দাম্ভিকতা, রক্তপাত আর মিথ্যাচারকে পুঁজি করে দেশ চালাতে গিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজে অনাচার তীব্র মাত্রায় উন্নীত করেছে। তাদের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজ যেন না ওঠে সেজন্য বিরোধী দলের অস্তিত্ব বিলীন করার কর্মযজ্ঞে মেতে উঠেছে সরকার। সেজন্যই তারা বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচাল করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেপরোয়াভাবে ব্যবহার করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ ঠাকুরগাঁওয়ে একটি অনুষ্ঠানে আমার যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারির ঘটনা প্রমাণ করে-সরকার জনসমাগমকে ভয় পায়, জনগণকে অবজ্ঞা করে। বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের কোনো দাবি বা অধিকারকে গ্রাহ্য করে না। সরকার তাদের কৃতকর্মের জন্য পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চরম ভরাডুবির কথা চিন্তা করেই বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলোকে নির্দয়ভাবে দমন করছে। শত বাধা, জুলুম-নির্যাতন ও হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে বর্তমান সরকার জনবিস্ফোরণ ঠেকাতে পারবে না, ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমাতে পারবে না।
বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে ঠাকুরগাঁও জেলাধীন সদর উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারির ঘটনাকে সরকারের হীন মানসিকতা উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান। তিনি আজ ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশী হামলা ও নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনাতেও তীব্র নিন্দা জানান। আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।