রদবদলের ৫ দিন পর নতুন অফিসে তারানা
সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে এসে মন্ত্রিপরিষদের দপ্তর বণ্টনের পাঁচ দিন পরে নতুন মন্ত্রণালয়ে এসে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আসেন তারানা হালিম। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সেইসঙ্গে বুঝ নেন দায়িত্ব।
নতুন দায়িত্ব পাওয়া নয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে তারানা হালিমই সবার শেষে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিলেন। গত চার বছর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
সরকারের শেষ সময়ে এসে গত ২ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদে নতুন করে তিন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরদিন ৩ আগস্ট দপ্তর বণ্টন ও পুনর্বণ্টন হয় নতুন-পুরোনো মিলিয়ে মোট নয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর।
সদ্য নিয়োগ পাওয়া টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে সরিয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দেওয়া হয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পর গতকাল শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি ডুবন্ত নৌকাকে জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব আমার ওপর দিয়েছেন। আমি সফল হতে পারব, এমন আস্থা ও বিশ্বাস থেকে প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর এ দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সফল হলে প্রধানমন্ত্রীও সফল হবেন, শক্তিশালী হবেন। তাঁর সম্মান রাখার জন্য আমি কাজ করব।’
তবে আজ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে নিজের কাজের বিষয়ে কথা বলেন তারানা হালিম। তিনি বলেন, ‘আমি যখন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ছিলাম, তখন মানুষের থ্রিজি সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। আমরা থ্রিজি থেকে ফোরজি-তে পদার্পণ করেছি। বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছি। ডাক বিভাগেহ সফলতা এনেছি। স্যাটেলাইট সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষের কোনো ধারণাই ছিল না। সেখানেও আমরা সফল হতে যাচ্ছি। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদানে। তাঁদের উৎসাহ ও সহযোগিতায় সফল হয়েছি।’