জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি
স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি স্থাপিত হলো জাতীয় প্রেসক্লাবের লবিতে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপনের মুহূর্তে বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
আজ শনিবার বঙ্গবন্ধুর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের লবির পূর্ব পাশের দেয়ালে পাথরে খোদাই বঙ্গবন্ধুর এ প্রতিকৃতি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন সাংবাদিক নেতারা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিকৃতি উন্মোচনের পর উপস্থিত সাংবাদিক নেতারা ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, লও লও লও সালাম’, ‘বঙ্গবন্ধুর রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ স্লোগানে প্রেসক্লাবের লবি প্রকম্পিত করে তোলেন।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের জন্য এ জায়গাটি বঙ্গবন্ধুই দান করেছিলেন। কিন্তু এতদিন আমরা তাঁর মর্যাদা দিতে পারিনি। এটি ছিল আমাদের জন্য লজ্জার। তবে প্রেসক্লাবের জন্য আজ এক স্মরণীয় দিন।
স্বাধীনতাবিরোধী চক্রকে প্রেসক্লাবে প্রতিহত করার কথা উল্লেখ করে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, একটি অপশক্তি দীর্ঘদিন ধরে এখানে ঘাপটি মেরে বসেছিল। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি বরাবরই প্রেসক্লাবে তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যদিয়ে এদের প্রতিহত করা হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রেসক্লাবের জন্য আজ এক ঐতিহাসিক দিন। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের ৪০ বছর পর জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁর প্রতিকৃতি স্থাপিত হলো। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি প্রেসক্লাবে এতদিন তৎপর থাকায় শত চেষ্টা করেও আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এখানে স্থাপন করতে পারিনি। আজ আমাদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হলো। এর মধ্য দিয়ে সাংবাদিক সমাজ গ্লানি ও লজ্জা থেকে রেহাই পেল।’
প্রেসক্লাব সভাপতি বলেন, ‘আজ সকালে প্রেসক্লাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। কালো পতাকা উড়েছে প্রেসক্লাবের সামনে। এতদিন এগুলো বিচ্ছিন্নভাবে প্রেসক্লাবের বিভিন্ন অংশে আমরা করে আসছিলাম, কিন্তু আজ প্রেসক্লাব কমিটির পক্ষ থেকে তা করতে পেরে ভালো লাগছে।’
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উন্মোচনের পর দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।