তথ্যপ্রযুক্তি আইনে প্রবীর সিকদার গ্রেপ্তার
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় অনলাইন পোর্টাল ‘উত্তরাধিকার ৭১’-এর সম্পাদক প্রবীর সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) এ জেড এম মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।
urgentPhoto
মোস্তাফিজুর বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রবীর সিকদার, ওনার নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বর্তমান সরকারের একজন মন্ত্রীকে (এলজিইডিমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন) লিখে তাঁর (প্রবীর) মৃত্যুর কারণসংক্রান্ত একটা মন্তব্য করেছেন। একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ওই স্ট্যাটাসের আসপেক্টে (পরিপ্রেক্ষিতে) তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আমরা ওনাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছি। বর্তমানে এ-সংক্রান্ত একটা মামলাও হয়েছে এবং তাঁকে কোর্টে পাঠানোর জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলতেছে।’
এর আগে গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা প্রবীর সিকদারকে আটক করেন। ওই সময় আটকের কারণ জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জলিল বলেছিলেন, ডিবি প্রবীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে বলে তিনি জেনেছেন।
বাবাকে আটকের বিষয়ে প্রবীর শিকদারের ছেলে সুপ্রিয় শিকদার কাল রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযোগটা হচ্ছে, সে (একজন পুলিশ সদস্য) একটা ফেসবুকের প্রিন্টেড (ছাপা) স্ট্যাটাস দেখাল। সেটা হচ্ছে, বাবা ১০ই আগস্ট একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তাঁর জীবনশঙ্কার কথা বলে। এলজিইডিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, মূসা বিন শমসের আর রাজাকার আবুল কালাম আজাদ—এই তিনজনকে দায়ী করে, যে আমার মৃত্যুর জন্য এই তিনজন দায়ী থাকবে। ওই রকম একটা স্ট্যাটাস। এটা তাদের অভিযোগ।’
সুপ্রিয় শিকদার আরো জানান, তাঁর বাবার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। তাঁরা জেনেছেন, ফরিদপুরে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা হয়েছে। এটা করেছেন স্বপন পাল নামের একজন আইনজীবী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী, ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা স্বপন কুমার পাল বলেন, ‘ফেসবুকে যেটা পোস্ট করছে প্রবীর সিকদার, আমাদের মাননীয় মন্ত্রী সম্পর্কে, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্পর্কে। পোস্ট করছে যে, তাঁর (প্রবীর) মৃত্যুর জন্য তিনজন ব্যক্তির নাম দিছে। তাঁর মধ্যে এক নম্বরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেবের নাম। দায়ী থাকবেন, এ কথাটা বলছে। এ বিষয়টা আমার দৃষ্টিতে আসার পরে আমার কাছে খুব খারাপ লাগছে। এটা একটা চক্রান্ত, আমাদের কাছে মনে হয়েছে।’
স্বপন কুমার পাল আরো বলেন, ‘তাঁর (খন্দকার মোশাররফ) বিরুদ্ধে একটা গভীর ষড়যন্ত্র হইতেছে। এই লেখাটা যারা পড়বে, তাদের মধ্যে একটা উসকানি তৈরি হবে। আমার নেতার প্রতি মানুষের ঘৃণা জন্ম নেবে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এই ষড়যন্ত্র করছে বলে মনে হইসে। যে কারণে আমি একটা মামলা করছি কোতোয়ালি থানায়, প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে।’