প্রবীরকে গ্রেপ্তার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত : ইমরান
গণজাগরণের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে গ্রেপ্তার করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত করেছে। আমি মনে করি এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে সাংবাদিক ও শহীদ পরিবারের সন্তান প্রবীর সিকদারের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে এসে ঘুরে আবার প্রজন্ম চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল থেকে অবিলম্বে প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তির দাবি জানানো হয়।
মিছিলপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইমরান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রবীর সিকদার সাংবাদিকতার সাথে জড়িত। বৃহত্তর ফরিদপুরের রাজাকারদের যত কুকর্ম তিনি তুলে ধরেছেন। তিনি এর আগেও যখন জনকণ্ঠে লিখেছেন সে সময়ও তাঁর বিরুদ্ধে বোমা হামলা হয়েছে এবং তাতে তিনি তাঁর একটি পা হারিয়েছেন।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, কারো বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবেদন লেখার কারণে যদি কোনো সাংবাদিককে আক্রান্ত হতে হয় রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক এবং অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করব এ প্রশ্নটি আসে তখন আমার কাছে বিষয়টি সাংঘর্ষিক মনে হয়। রাষ্ট্র সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করবে ‘কালো আইন’ ব্যবহার করে এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ইমরান বলেন, যে ধারায় প্রবীর সিকদারকে আটক করা হয়েছে, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায়, সে ধারাটিও কিন্তু একটা কালো আইন হিসেবে চিহ্নিত। অর্থাৎ, যে ধারাটি জামিন অযোগ্য এবং যে ধারার অপব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকার যেকোনো সময় যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে। আমরা কোনোভাবেই প্রত্যাশা করি না যে রাষ্ট্রের ভেতরে এমন একটি কালো আইন থাকবে যেটি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
৫৭ ধারাকে কালো আইন হিসেবে উল্লেখ করে এটি সহ মতপ্রকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এমন যত আইন আছে সেগুলোকে বিলুপ্ত করার আহ্বান জানান ইমরান এইচ সরকার।