প্রবীর সিকদারে মুক্তির দাবি জানিয়েছে সিপিজে
সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে সংবাদিকদের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’ (সিপিজে)। একই সঙ্গে সংগঠনটি তাঁকে হুমকির বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল সোমবার সিপিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ দাবি জানানো হয়।
প্রতিবেদনে সিপিজে এশিয়া প্রকল্পের গবেষণা কর্মকর্তা সুমিত গালহোত্রা বলেন, হুমকি প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের ফলে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আরো আস্থাহীনতা তৈরি হবে।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সিপিজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ’ নামের একটি অনলাইনের সম্পাদক প্রবীর সরকারকে ঢাকায় তাঁর কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দারা। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে শুনানি মঙ্গলবারের জন্য মুলতবি রাখেন আদালত।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনের বরাতদিয়ে সিপিজে জানিয়েছে, সাংবাদিক সিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন সংসদ সদস্যের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন তিনি। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ফেসবুকে প্রবীর সিকদারকে হুমকি দেওয়া হয়। এখন তাঁর কিছু ঘটলে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন দায়ী থাকবেন। আরো দায় থাকবে অভিযুক্ত একজন যুদ্ধপরাধী ও ব্যবসায়ীর। তবে হুমকির ধরনের বিষয়টি পরিষ্কার নয়।
দেশের একটি অনলাইনের বরাত দিয়ে সিপিজে জানায়, খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রবীর সরকারের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে রক্ষায় তিনি আইনি পথে এগিয়েছেন।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে আছে ৫৭ ধারায় প্রায়ই সাংবাদিকদের হয়রানি করা হয়।
সাংবাদিক প্রবীর সিকদার দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্রে কাজ করেছেন। একাত্তরের সময়কার অবস্থার একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১ সালে তিনি হামলার শিকার হন।
সিপিজের তথ্যমতে, বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করা সাংবাদিকদের ওপর চাপ বাড়ছে। একই সঙ্গে গত ছয় মাসে চারজন ব্লগারকে হত্যা করেছে উগ্রপন্থীরা।