ভোটার তালিকায় কেউ বাদ পড়বে না : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম থেকে একজন ভোটারও বাদ পড়বে না। তিনি সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভোটার তালিকায় নারীদের নিবন্ধনের ওপর জোর দিয়ে সিইসি বলেন, নারীরা পিছিয়ে পড়লে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না। তাই নারীরা যাতে বাদ না পড়ে এ বিষয়েও তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৫ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, দুটি বা তিনটি জন্ম তারিখ রাখা ভালো নয়। এটা রাখে ক্রিমিনালরা। যখনই জাতীয় পরিচয়পত্র করা হবে তখনই সঠিক জন্ম তারিখ দিতে হবে। কোনো ভূয়া জন্ম তারিখ দিয়ে ভোটার হওয়া যাবে না। ভোটর তালিকা হালনাগাদ করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জন্য আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে সভা করেছি। তাতে অনেক অগ্রগতিও হয়েছে।
‘ভোটার আইডি কার্ডে ভুল করা যাবে না। ১৮ বছর না হলে ভোটার তালিকাভুক্ত করা যাবে না।’
সিইসি বলেন, প্রথম দিকে ভোটার হালনাগাদ করতে একটু সমস্যা হয়েছে। ছবিগুলো খারাপ হয়েছে। কিন্তু এখন আর তা হবে না। এখন ডিজিটাল মেশিন আনা হয়েছে।
সার্ভার স্টেশন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, সার্ভার স্টেশনগুলো অল-কমপ্লিট। সব যন্ত্রপাতি এসে গেছে। তবে সার্ভার স্টেশনগুলোতে যাতে কেউ ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা চালু করা হবে।
শিশু জন্মের পর ডাটা সংগ্রহ করা হবে জানিয়ে সিইসি আরো বলেন, উন্নত দেশের মতো আমরাও শিশুর জন্মের পর যাতে ডাটা তৈরি করতে পারি সেই লক্ষ্যেও কাজ করা হচ্ছে। শিগগিরই সেই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। এ ছাড়া ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত কেউ ভোটার হতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ১৮ বছর হলে সবাই ভোটার হয়ে যাবে।
সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দীন আহমদ, আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন।
আলোচনায় অংশ নেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, সিলেটের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা প্রমুখ।