‘আ. লীগ জানে সুষ্ঠু ভোটে ফল নিজেদের পক্ষে যাবে না’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ জানে সুষ্ঠু নির্বাচন করে ফলাফল তাদের পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা ও তথ্য জালিয়াতি করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। যাতে বিএনপি ও তাঁকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখে আবারও ক্ষমতায় যাওয়া যায়।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় চেয়ারপারসনের গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ বৈঠক শেষ হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, সভায় উপস্থিত সবাই খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করার জন্য আবারও নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আইনিভাবে জামিনযোগ্য হওয়ার পরও তা না হওয়ায় তারা উদ্বেগ জানিয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খালেদা জিয়া দ্রুত জামিনের ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা।
খালেদা জিয়ার মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে নেতারা একমত হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর মধ্যে আমরা বিভাগীয় শহরগুলোতে জনসভা করার সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করেছি। আরো অনেক সিদ্ধান্ত হয়েছে যা পরে আপনাদের জানাবো।’
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রাদয়ের কাছে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা চিঠির মাধ্যমে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থাকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নেওয়া এবং আগামী নির্বাচন সম্পর্কে তাদের অবহিত করেছি।’
জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার নিন্দা জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা এসব সন্ত্রাসের পক্ষে নই কখনো। আমরা মনে করি, আবারও একটা মহল চক্রান্ত চালাচ্ছে, যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো বৈঠক উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ ছাড়া উপস্থিত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, জয়নুল আবদীন ফারুক, কবি আবদুল হাই শিকদার, ফরহাদ হালিম ডোনার, সৈয়দ মুহাম্মদ শামসুল আলম, ড. সুকোমল বড়ুয়া, আবুল খায়ের ভুইয়া, মামুন আহমেদ। ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মো. শাহজাহান, আবদুর আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বরকত উল্লাহ বুলু, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শামা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।