মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে খুন
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর একটি অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। নিহত মো. রফিকুল ইসলাম (৫০) উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ। এ সময় আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রফিকুলের লাশ কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। তিনি উপজেলার টেংরাবাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কালিয়াকৈর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. হোসেন আলী ও আওয়ামী লীগকর্মী মো. আব্দুল মোতালেব এনটিভি অনলাইনকে জানান, কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিকেলে চন্দ্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আবদুল আজিজ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠান শুরুর কিছু সময় পর বক্তব্য রাখেন যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম। তিনি বক্তব্য শেষ করে অনুষ্ঠান চলা অবস্থায় মঞ্চ থেকে নেমে সভাস্থলের পশ্চিম পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন।
এ সময় ১০-১২ যুবক লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে রফিকুলের ওপর হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
আশপাশের লোকজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা রফিকুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রফিকুলের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়েলে সভাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বক্তব্য না দিয়েই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে হাসপাতালে যান।
হাসপাতালের চিকিৎসক শামসুল হুদা নাঈম জানান, নিহতের পেটে তিনটি, বুকে একটি ছুরিকাঘাতের জখম এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, কারা এ হামলা চালিয়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।