লাশ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামের হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে তাঁর লাশ নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
urgentPhoto
ময়নাতদন্ত শেষে আজ শনিবার দুপুরে রফিকুল ইসলামের লাশ তাঁর নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়ার সময় নেতা-কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে তারা লাশ নিয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা শিকদার জহিরুল ইসলাম জয় ও আকবর আলীসহ অন্যদের হত্যকারীদের আখ্যা দেওয়া হয়। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ঘরে না ফেরারও ঘোষণা দেন বক্তারা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল, আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন, মো. মোতালেব হোসেন প্রমুখ।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, রফিকুল ইসলামের লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কিছু সময় অবস্থান নেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে অবরোধকারীরা কালিয়াকৈর বাজার এলাকায় সমাবেশ শেষে লাশ দাফনের জন্য রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে মিলাদ ও আলোচনা সভা হয়। এ সময় রফিকুলকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কালিয়াকৈর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. হোসেন আলী ও আওয়ামী লীগকর্মী মো. আব্দুল মোতালেব গতকাল এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিকেলে চন্দ্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আবদুল আজিজ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠান শুরুর কিছু সময় পর বক্তব্য দেন যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম। তিনি বক্তব্য শেষ করে অনুষ্ঠান চলা অবস্থায় মঞ্চ থেকে নেমে সভাস্থলের পশ্চিম পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন।
এ সময় ১০-১২ জন যুবক লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে রফিকুলের ওপর হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
আশপাশের লোকজন ও দলীয় নেতা-কর্মীরা রফিকুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।