৫টি বড় দুর্যোগে কেউ না খেয়ে কষ্ট পায়নি : মায়া
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, সরকারের টেকসই ব্যবস্থাপনার ফলে ২০১৭ সালে ঘটে যাওয়া ৫টি বড় দুর্যোগে কেউ না খেয়ে কষ্ট পায়নি। প্রত্যেকটি দুর্যোগে পরিকল্পিতভাবে আগাম বার্তা প্রদান, উদ্ধার অভিযান, ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসন কাজ করা হয়েছে।
আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০১৮-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এজাজুল বারী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মদ খান, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন, সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রামের (সিপিপি) পরিচালক আহমেদুল হক বক্তব্য দেন।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হল ‘জানবে বিশ্ব জানবে দেশ, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ।’ এ সময় দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকার বন্যা আসার পূর্বেই প্রস্তুতি সভা, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, বরাদ্দ প্রদান ও আগাম বার্তা দিয়ে থাকে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন ৫দিন পূর্বেই আগাম বার্তা প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বেই গভীর সমুদ্রের মানুষদের সতর্ক করার জন্য এসএমএস পাঠানো হচ্ছে, তাদের উদ্ধার জন্য উপযোগী জাহাজ ক্রয় করা হয়েছে।
ত্রাণমন্ত্রী আরো বলেন, গত বছরে হাওর এলাকায় সংগঠিত পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন লাখ ৮০ হাজার কৃষক ও জেলেকে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২২৮ কোটি টাকা ও এক লাখ ৩৬ হাজার টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, তীব্র শৈত্যপ্রবাহে গরীব মানুষদের রক্ষার জন্য ৩০ লাখ কম্বল ও ৯৮ হাজার প্যাকেট খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি, দলীয় নেতারা, বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা দুর্যোগকালে ব্যাপক সাড়া দেওয়ায় করায় দুর্যোগ মোকাবিলা সহজ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শহর ও উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবকের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকার জন্য ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও শহর এলাকার জন্য ৩২ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি দুর্যোগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সরেজমিন উপস্থিত থেকে ত্রাণ বিতরণ, উদ্ধার ও পুনর্বাসন করায় মন্ত্রী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বক্তব্যের আগে মন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়বস্তুর ওপর আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন। বক্তৃতার পর মন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্মিত স্টল পরিদর্শন করেন।