প্রমাণ হলো খালেদা জিয়ার মামলায় সরকার হস্তক্ষেপ করেনি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের প্রতিক্রিয়ায় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্রমাণ হলো খালেদা জিয়ার মামলায় সরকার আদালতের ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি।
আজ সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের আদেশের ঘোষণার পর আইনমন্ত্রী সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শুরু থেকেই বিএনপি একটি অভিযোগ করে আসছে যে সরকার আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। সরকারের বাধায় খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না। প্রমাণ হলো বিএনপির এ অভিযোগ সত্য নয়। আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে এ আদেশ দিয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, এ মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনের। এখানে মামলাটির নামও হলো দুদক বনাম খালেদা জিয়া। হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে দুদক ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে। রাষ্ট্র এখানে দ্বিতীয় অংশ, যেহেতু ফৌজদারি মামলা।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন হবে পক্ষ, রাষ্ট্র পক্ষ হবে না। রাষ্ট্র উইল বি সেকেন্ড পার্ট, যেহেতু ফৌজদারি মামলা। এখন দুর্নীতি দমন কমিশন এরপরের কী কর্মপন্থা, তারা আর কী করবেন সেই সিদ্ধান্ত তারা নেবেন। এটা সরকারের ব্যাপার নয়। সরকারকে তারা হয়ত অবগত করতে পারেন অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসকে।’
আনিসুল আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা আছে কি না, এটা আমার এ মুহূর্তে জানা নেই। তা ছাড়া জামিন আদেশের সার্টিফায়েড কপি হাতে পেতেও কত সময় লাগবে সেটা আদালতই বলতে পারবেন।’
আজ দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে চার মাসের জামিন দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এর পরই গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। সেইসঙ্গে স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হাইকোর্টের একই বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে এসে পৌঁছানোর পরই আদেশ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।