স্বৈরতান্ত্রিক উল্লেখ করা প্রতিবেদন ষড়যন্ত্র : তোফায়েল
বাংলাদেশকে স্বৈরতান্ত্রিক দেশ উল্লেখ করে জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতিতে গোট জাতি যখন আনন্দিত, তখন এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের পেছনে কী উদ্দেশ্য তা জনগণ বোঝে বলে মন্তব্য করেন তোফায়েল।
এ ছাড়া তোফায়েল আহমেদ দাবি করেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশকে অধিকতর দরিদ্র দেশে নামিয়ে আনতো।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘জাতিসংঘের মানদণ্ডে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। আমরা উন্নয়নের বিজয় উৎসব করছি, ঢাকা শহরে, গ্রামে—মানুষের কী আনন্দ। সেই মুহূর্তে এ রিপোর্ট দিয়েছে। যেটা নাথিং বাট আ কন্সপিরেসি—যেটা ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু না।’
গতকাল শুক্রবার জার্মানির প্রতিষ্ঠান ‘বেরটেলসম্যান স্টিফটুং’প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং সেখানে এখন গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড পর্যন্ত মানা হচ্ছে না। এসংক্রান্ত খবর বিবিসিসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ১২৯টি দেশে গণতন্ত্র, বাজার অর্থনীতি এবং সুশাসনের অবস্থা নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। এসব দেশের মধ্যে ৫৮টি দেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং ৭১টি দেশকে গণতান্ত্রিক। ২০১৬ সালে তাদের আগের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিশ্বের ৭৪টি দেশে গণতান্ত্রিক এবং ৫৫টি দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে। এসব দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে যে সূচক এই সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান ৮০ নম্বরে। একই অবস্থানে আছে রাশিয়া। উরুগুয়ে, এস্তোনিয়া এবং তাইওয়ান আছে এই সূচকের শীর্ষে। আর একেবারে তলায় রয়েছে সোমালিয়া, ইয়েমেন এবং সিরিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান অবশ্য বাংলাদেশের নীচে - ৯৮ নম্বরে। মিয়ানমারের অবস্থান ১০৪ নম্বরে।
সমীক্ষা চালানো দেশগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে পাঁচটি দেশের কথা: বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া ও উগান্ডা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পাঁচটি দেশ এখন আর গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড পর্যন্ত মানছে না।