রাজন হত্যার অভিযোগপত্র আমলে
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন (১৩) হত্যা মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুনানি শেষে মহানগর হাকিম আদালত ১-এর বিচারক সাহেদুল করিম এই অভিযোগপত্র আমলে নেন।
সিলেট জেলা জজকোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এবং রাজনের বাবার আইনজীবী শওকত চৌধুরী জানান, আদালত শুনানি শেষে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন। একই সঙ্গে অভিযুক্ত তিন পলাতক আসামি কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ ও পাভেলকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারিসহ তাঁদের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে কামরুলকে সৌদি আরবে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেছেন প্রবাসীরা।
আইনজীবীরা আরো জানান, মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩১ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে কামরুল, তাঁর ভাই শামীম আহমদ ও পাভেলকে পলাতক দেখানো হয়। এ ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হচ্ছেন কামরুলের ভাই আলী হায়দার, মুহিদ আলম, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।
এদিকে, রাজন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মুহিদ আলমের স্ত্রী লিপি বেগম এবং শ্যালক ইসমাইল হোসেন আবলুছের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়।
গত ৮ জুলাই সকালে সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিশু রাজনকে। পরে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।