খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের অভিযোগ গঠন ১২ জুলাই
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১২ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ৬ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস মোহাম্মদ আলী এ দিন ধার্য করেন।
এ দিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়াসহ অন্যান্য আসামির আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বশির আহমেদ।
অভিযোগপত্রের অপর আসামিরা হলেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, আমানউল্লাহ আমান, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বরকত উল্লাহ বুলু, সালাউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মারুফ কামাল খান সোহেল, মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, আবদুল কাইয়ুম, লতিফ কমিশনার, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, যাত্রাবাড়ী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, তাঁর ছেলে তানভীর আহমেদ রবিন, নবী উল্লাহ নবী, সেলিম ভূঁইয়া।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাত ৯টায় যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোডের মাতুয়াইল কাউন্সিলর অফিসের সামনে গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হন কমপক্ষে ৩১ জন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূর আলম নামের একজন মারা যান।
ঘটনার পর যাত্রাবাড়ী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ। অপরদিকে এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে পৃথক দৃটি অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সেখানে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও আরো কয়েকটি মামলায় জামিন না পাওয়ায় সেখানেই আছেন।