‘শর্ত পূরণ করেই আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন’
গণসংহতি আন্দোলন নির্বাচন কমিশনের সকল শর্ত পূরন করেই রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
নিবন্ধনের আবেদন সক্রিয় ভাবে বিবেচনায় নিতে আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।
শর্ত পূরণ না করায় রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়নি গণসংহতি আন্দোলন- গতকাল রোববার প্রকাশিত এমন খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষার কথা জানান সাকি।
এদিকে গণসংহতি আন্দোলনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সোমবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল-এর নেতৃত্বে সংগঠনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনির উদ্দিন পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপক রায়সহ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যান। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও নতুন দল নিবন্ধন বিষয়ে একটি চিঠি তাঁরা নির্বাচন কমিশনে জমা দেন।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রে আমরা দেখতে পেলাম নতুন আবেদন করা দলগুলোর অধিকাংশই শর্ত পূরণ করেনি বলে নির্বাচন কমিশন এর বরাতে বলা হয়েছে এবং গণসংহতি আন্দোলনও তার অন্তর্ভূক্ত। এ ধরনের খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে গণসংহতি আন্দোলন নির্বাচন কমিশনের সকল শর্ত পূরণ সাপেক্ষেই নিবন্ধনের আবেদন করেছে। গণসংহতি আন্দোলন ২০০২ সালে তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একটি রাজনৈতিক সংগঠন আকারে নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে গণসংহতি আন্দোলনের সক্রিয় ভূমিকা রাজনৈতিক পরিচিত মহলে জ্ঞাত ও পরিচিত। কেবল সক্রিয়তার বিবেচনাতেই নয়, সাংগঠনিক বিস্তারেও নির্বাচন কমিশনের সকল শর্ত সংগঠন পূরণ করেছে। কাজেই রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের দাবিদার বলে মনে আমরা নিজেদের মনে করছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত বছর ৩১ ডিসেম্বর বিধি মোতাবেক সকল শর্ত পূরণ সাপেক্ষে গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন করে। গত ৮ চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন তার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী যে ঘাটতি বা সম্পূরক শর্তাদী পালনের জন্য বলেন সেটিও যথাযথভাবে পূরণ করা হয়।