সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন বুদ্ধিজীবীদের
নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার আড়াই বছর অতিক্রম হলেও আদালতে অভিযোগপত্র না দেওয়ায় এ মামলাটির ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা ও সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের বুদ্ধিজীবীরা।
আজ শনিবার দেশের ১৯ জন বুদ্ধিজীবী এক বিবৃতি বলেন, ‘এরই মধ্যে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির মাধ্যমে ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) তদন্তে যার নেতৃত্বে ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রকাশ পেয়েছে সেই অভিযুক্ত আসামি এখন জনসন্মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবার কেউ কেউ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এসব কারণে ত্বকী হত্যার বিচার কার্যক্রমে সরকারের ভূমিকা ও সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কামাল লোহানী, আহমদ রফিক, অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, অধ্যাপক যতীন সরকার, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, অধ্যাপক ড. হায়াৎ মামুদ, অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, ডা. সারোয়ার আলী, ড. মালেকা বেগম, আয়েশা খানম, অধ্যাপক শফি আহমেদ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক এম এম আকাশ ও শিশির ভট্টাচার্য।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে ৬ মার্চ মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্তিতে সংবাদ সম্মেলন করে ত্বকী হত্যার তদন্ত শেষ বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন।
‘কিন্তু ত্বকী হত্যার আড়াই বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি।’
এ ব্যাপারে বিশিষ্টজনরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা বা বিচারহীনতার সংস্কৃতি কোনোভাবেই স্বাধীন দেশের চেতনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলেও আমরা মনে করি।