নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তবে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কোনো ঝুঁকি নেই এবং এজন্য এখানে সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সমন্বয় কমিটির বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে কে এম নুরুল হুদা এসব কথা জানান।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সিইসি বলেন, ‘এ ব্যাপারে কথা হয়েছে ঠিকই যে এত প্রস্তুতি থাকার পরও কেন ভোট স্ট্যাপিং হলো। এটা কথা হয়েছে। এবং এখানে যারা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যাঁরা আছেন, তাঁরা কথা দিয়েছেন আমাদের যে গাজীপুরে সেটা হবে না।’
কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘আমাদের আলোচনা এবং মতবিনিময়ে সফল হয়েছি। প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে, এখানে কোনো ঝুঁকি নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু হবে এই প্রত্যাশাই তাঁরা করেছেন। হ্যাঁ, এখানে সতর্কতামূলক অবস্থা আছে। এখন পর্যন্ত আপনারা তো জানেন, গাজীপুর এত বড় একটা সিটি করপোরেশন, সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন। অথচ নির্বাচনের ৮০ দিন পেরিয়ে গেল। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে মাঝখানে যেটা বন্ধ ছিল, সেটা নিয়েই। এরপরও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি যেটা নির্বাচনকে ব্যাহত বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। সুতরাং আমরা আশা করি, পরিবেশ পরিস্থিতি যখন এ পর্যন্ত ভালো আছে, নির্বাচন পর্যন্ত, নির্বাচন পার হওয়া পর পর্যন্ত তারা এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে পারবে। বিশ্বাস করি।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘সেনাবাহিনী না, সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে না। সিটি করপোরেশনের মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে না। এটা আমি তাদেরও বলেছি বারবার।’
নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘গাজীপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এই পর্যন্ত যা আছে, আমি সন্তুষ্ট। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, যেই ব্যক্তি দায়ী হবে, তার বিরুদ্ধে আমরা আইনত ব্যবস্থা নেব। আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য, যে পর্যায়ে যাওয়ার দরকার হয়, সেই পর্যায়ে আমরা যাব। এ রকম কথা বলেছি আমরা। নির্বাচনের কমিশনার আমাদের বলেছেন।’
এ ছাড়া গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
সভায় নির্বাচন কমিশনের অপর পাঁচ কমিশনার, কমিশনের সচিব, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও বিভিন্ন সেবাসংস্থার প্রতিনিধিরাও যোগ দেন।