ফখরুলসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ ১৯ অক্টোবর
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে গাড়িতে পেট্রলবোমা ও অগ্নিসংযোগ করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে আদেশ আগামী ১৯ অক্টোবর দেবেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম আমিনুল হকের আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র সংক্রান্ত আদেশ দেওয়ার দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আজ বিচারক আদেশ না দিয়ে অভিযোগপত্র নথি সংযুক্ত করে তা গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।
অভিযোগপত্রে , বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সালাউদ্দিন আহম্মেদ, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সফিকুল ইসলাম মাসুদ, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ ২৯ জনকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর রাজধানীর রমনা থানার ভিআইপি রোডের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল বাতিলসহ ১৮ দলীয় জোটের (তৎকালীন) গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ৭২ ঘণ্টা সারা দেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের সমর্থনে বিএনপি ও জামায়াতের ২০-৩০ নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে এসে ‘সুপ্রভাত-৪/এ’ (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-২৬৩৯) বাসে পেট্রলবোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি আইল্যান্ডে উঠিয়ে দেন। আহত হন বাসের হেলপারসহ বেশ কয়েক যাত্রী।
গুরুতর আহত যাত্রীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক হাবিবুর রহমান নামের এক যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। বাসযাত্রী অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া তার বাঁ-হাত হারান। রেজাউল করিম ও এহসানুল হাসান নামের দুই বাসযাত্রীকে চিকিৎসার জন্য বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।