চামড়ার দরপতন নিয়ে যা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘চামড়া নিয়ে যে সংকট হয়েছে তার মূল কারণ হচ্ছে সাভারে চামড়া কারখানাগুলো ঠিকভাবে চালু হয়নি। সেখানকার কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগাড়ও চালু হয়নি। প্লটের মালিকরা জমির মালিকানার দলিলও পায়নি। ব্যাংক থেকে ঋণ পায়নি। মূলত এসব কারণেই কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।’
তোফায়েল আহমেদ আজ রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রী আরো জানান, কাঁচা চামড়া রপ্তানির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। তিনি বলেন, কারণ, কাঁচা চামড়া রপ্তানি করা হলে দেশের চামড়া শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
‘সরকার এ খাতের উন্নয়নে সবকিছু করবে’- উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, ‘চামড়া বাংলাদেশের পাঁচটি রপ্তানি খাতের মধ্যে একটি অন্যতম খাত। এ রকম একটি সম্ভাবনাময় খাত যাতে কোনোভাবেই ধ্বংস হয়ে না যায় সেজন্য সরকার সতর্ক আছে।’
ঈদের সময় রাজধানীর পাড়া-মহল্লার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মূলত ফড়িয়া এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীরাই কোরবানির পশুর চামড়া কিনে। পরে তারা এসব চামড়া নিয়ে আসে, রাজধানীর বেশ কিছু স্থানে বসা কাঁচা চামড়ার অস্থায়ী বাজারে। বিশেষ করে সায়েন্সল্যাব এবং ঢাকেশ্বরী মোড় থেকে তাদের কাছ থেকে চামড়া কেনে ট্যানারি এবং আড়তের মালিকরা।
এ বছর কাঁচা চামড়ার দরপতনে, কোরবানির পশুর চামড়ার কম দাম পেয়েছে সাধারণ মানুষ। আবার অনেক ফড়িয়া এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীও বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া কিনে এনে লোকসানে তা বিক্রি করেছে আড়তগুলোতে। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল, সিন্ডিকেট করে দাম কমানো হয়েছে। আবার দামের অস্থিরতার জন্য ট্যানারি মালিকরা দুষছে পাড়া-মহল্লার সিন্ডিকেটকে।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ বলেন, ‘এখানে পাড়া-মহল্লাভিত্তিক সিন্ডিকেট হয়। এখানে দেখা যায়, রাজনৈতিক কর্মীবাহিনী, সামাজিক ক্লাবভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন- এলাকাভিত্তিক চামড়ার দাম তারা কন্ট্রোল করে। এখানে তারা যদি ২০০-৩০০ টাকা করে ক্রয় করে, ট্যানারি মালিকদের এখানে কী করার আছে?’
এর মধ্যে আজ বাণিজ্যমন্ত্রীর চামড়া নিয়ে এই বক্তব্য এলো।
‘নির্বাচনে না এলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে বড় ধরনের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতোই বাংলাদেশেও সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সংসদের যে অধিবেশন ডাকা হয়েছে, এটি সম্ভবত এই সংসদের শেষ অধিবেশন।
‘নির্বাচনের বাকি আছে আর মাত্র চার মাস। যারা নির্বাচন করবে তারা তো মাঠে থাকবে। আমরা আওয়ামী লীগ মাঠে আছি। আর কেউ যদি মাঠে না থাকে তাহলে তো আর আমাদের কিছু করার নেই।’
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের জন্য জনগণ শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়। কারণ শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এক অন্য ধরনের উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।’