কেরানীগঞ্জে বাসে পেট্রলবোমার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
ঢাকার কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বাসে পেট্রলবোমা ছোড়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। তাঁরা হলেন মো. ফজল মিয়া (২২), খায়রুল ইসলাম (২৬) ও শওকত ইসলাম (২৪)।
পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার তিনজনই ছাত্রদলের কর্মী। ২০ জানুয়ারি অবরোধ চলাকালে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে সিরাজদীখান পরিবহন নামে একটি বাসে পেট্রলবোমা ছোড়েন তাঁরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই দায় স্বীকার করেছেন।
আজ শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানানো হয়। সম্মেলনে ঢাকার জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে ডিবির একটি দল কেরানীগঞ্জের নোয়াদ্দা গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, বাসে আগুন দেওয়ার ঘ্টনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পাভেল মোল্লা। তাঁর নির্দেশে এ ঘটনা ঘটেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, ওই তিনজন কোনো ভাড়াটে কর্মী নয়। তাঁরা ছাত্রদলের কর্মী বলে স্বীকার করেছেন। ‘দলীয় প্রধানের’ নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা এ কাজ করেছেন। এ ঘটনায় পাভেল মোল্লার ছোট ভাই বাবুও জড়িত।
পুলিশ সুপার বলেন, পাভেল মোল্লাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই এই ঘটনার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কারা আছেন, তা জানা যাবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গ্রেপ্তার শওকত জানান, ‘আমি দোকানে ছিলাম। বড় ভাই (পাভেল) ফোন দিয়ে বলেছিল, কাজ কম থাকলে আসিস। আসার পর সে আমাদের বাসে আগুন দেওয়ার কথা বলে। সে জন্য দুটি মোজোর (কোমল পানীয়) বোতল দিয়েছিল।’
শওকত আরো জানান, মোজোর বোতল দিয়ে পেট্রলবোমা বানানোর পর ওই দিন রাত ১টা ৪৫ মিনিটে তাঁরা এটি বাসে ছোড়েন। এ সময় সাংবাদিকরা তিনিসহ (শওকত) বাকি দুজন ছাত্রদলের কর্মী কি না জিজ্ঞেস করলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।