‘কাছাকাছি দেখলে ইভিএম নিয়ে ধারণা বদলাবে’
সব রাজনৈতিক দলকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে দেখতে অনুরোধ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। কাছাকাছি গিয়ে দেখলে ইভিএম নিয়ে ধারণা বদলে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেট নগরীর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘যারা রাজনীতিবিদ তাঁদেরকে আমরা অনুরোধ করব, তাঁরা যেনো এই ইভিএম দেখেন, নিজেরা ভোট দিয়ে দেখেন। নিজেরা ব্যবহার করে দেখেন। ভালো- মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করেন। এটা আমার অনুরোধ। আমি আশা করি, আজকে যেমন আমরা দেখলাম, এটা যদি উনারা কাছাকাছি গিয়ে দেখেন, তাহলে আমার মনে হয় তাদের সে ধারণাটা বদলে যাবে। কারণ আমরা তো দেখাইতেই পারি নাই এতদিন আসলে সেরকমভাবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ ইভিএম যেখানে যেখানে দেখানো হইছে, ব্যবহার করা হইছে, আমরা সেখানে সেখানে কোনো রকমের অভিযোগ পাইনি।’
দেশের সবকয়টি জেলায় ইভিএমের প্রদর্শনী করা হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘কোথাও কোনো অভিযোগ ছিল না। রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোথাও কোথাও এটা নিয়ে একটু বিরূপ মন্তব্য আছে, তো সেটার ব্যাপারে আমাদের মন্তব্য হলো যে, আমরা এখন পর্যন্ত ইভিএম দেখাতে পারি নাই তাদেরকে। এখন শুরু করলাম, এই সুযোগে। এখন যেমন আমরা ৬৪টা জেলায় ইভিএম প্রদর্শনী শুরু করেছি।’
নুরুল হুদা আরো বলেন, ‘আমরা এখনো প্রস্তুতি পর্যায়ে আছি। সিদ্ধান্তের একটা পর্যায় বাকি আছে, সেটা হলো আরপিও পরিবর্তন করতে হবে। সংশোধন করতে হবে। সংশোধন এখনো হয়নি। সংশোধনের জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি সরকারের কাছে, আর অন্যান্য যে প্রস্তুতি সেগুলো আমরা গ্রহণ করেছি। ইভিএমের ব্যবহার একেবারে সীমিত আকারে করব। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশব্যাপী করার কোনো সুযোগ নেই। এত সক্ষমতা আমাদের নেই। এখনো জানি না। প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর কত লোক এবং কত মেশিন রেডি করতে পারব, তার ওপর নির্ভর করে। খুব বেশি হবে না।’
কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘রাজনৈতিক দল যারা আছেন, সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলাদাভাবে মিটিং করে সংলাপ করে না হলেও তাদের যে সেন্টিমেন্ট সেটা আমরা জানার চেষ্টা করব। তারপরে আমরা ব্যবহার করব।’
এ সময় সিইসির সঙ্গে সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান ও পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।