আহতরা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে, আ.লীগের মিছিল
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আহতরা ঘটনাস্থল রাজধানীর বঙ্গবন্ধুর এভিনিউয়ে জড়ো হয়েছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও রয়েছেন। অন্যদিকে, এ ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে আওয়ামী লীগ নেতারা মিছিল করেছেন।
গ্রেনেড হামলায় আহতরা আশা করছেন, এই বর্বরোচিত হামলায় যারা জড়িত, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, এটার তাঁদের জন্য ন্যায়বিচার।
বর্বরোচিত ও নৃশংস ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হচ্ছে আজ বুধবার। এর মধ্য দিয়ে ১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে ২১ আগস্টের ওই ঘটনায় আনা পৃথক মামলায় একই সঙ্গে বিচার অনুষ্ঠিত হয়।
বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের গাড়ি আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে আদালত চত্বরে প্রবেশ করতে দেখেছেন সেখানে কর্তব্যরত গণমাধ্যমকর্মীরা। এই রায়কে ঘিরে আদালত চত্বরে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দলটির সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নৃশংস হামলায় ২৪ জন নিহত ও নেতাকর্মী-আইনজীবী-সাংবাদিকসহ পাঁচ শতাধিক লোক আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান।
তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অন্যান্য নেতা এই গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যান। এতে অল্পের জন্য শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তাঁর শ্রবণশক্তিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
আজ ভোর থেকেই আহতদের মধ্যে অনেকেই জড়ো হন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সমানে। কারো কারো পরিবারের সদস্যরা হাজির হয়েছেন। অনেকেই এসেছেন হুইলচেয়ারে করে, কেউ বা ক্র্যাচে ভর দিয়ে এসেছেন। তাঁদের শরীরে গ্রেনেড হামলার ক্ষতচিহ্ন। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড যেন বাংলাদেশে আর ফিরে না আসে। তাঁরা ন্যায়বিচারের মাধ্যমে এই ঘটনার অবসান চান।