তারেক রহমানকে দেশে এনে ফাঁসির দাবি ছাত্রলীগের
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে আদালতের দেওয়া এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করে তাঁর ফাঁসির দাবি তুলেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। এমনকি তাঁকে দেশে এনে ফাঁসি দেওয়ার আগ পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
আজ বুধবার মামলার রায় ঘোষণার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এক সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। সমাবেশে নিজেদের প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনের এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন বলেন, ‘যে রায় দেওয়া হয়েছে, তাতে আমরা কেউ সন্তুষ্ট নই। আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মীকে সেদিন হত্যা করা হয়েছিল। এরপর বিএনপি-জামায়াতের প্রেতাত্মারা মিথ্যা নাটক সাজায়। আমরা ছাত্রসমাজ এ রায়ে সন্তুষ্ট না।’
শোভন আরো বলেন, ‘আমরা চাই তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে এনে ফাঁসি দেওয়া হোক। এ দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে স্মারকলিপি দেবো। আমরা চাই না বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানে ফিরে যাক। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলেছিল, এখনো ছাত্রসমাজ দুর্গ গড়ে তুলবে।’
এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য তাঁর ওপর ১৯ বার হামলা চালানো হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এ রকম বর্বর হামলার নজির নাই। আমরা তারেক জিয়ার ফাঁসি চাই। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যেভাবে মানবঢাল রচনা করে প্রধানমন্ত্রীর জীবন রক্ষা করেছিল, আগামী দিনে যেকোনো দুর্দিনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছাত্রসমাজ প্রধানমন্ত্রীর জন্য মানবঢাল তৈরি করবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের সঞ্চালনায় এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আজ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ৪৯ আসামির মধ্যে বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালত এ রায় দেন।