গান -বাজনা নিয়ে জাপা-খেলাফত হাতাহাতি
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে খেলাফত মজলিসের কর্মী এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে আপত্তির মুখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমাবেশ শুরু হওয়ার পর জাপা নেতাকর্মী ও খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাপার দুই নেতার কর্মী শোডাউন করাকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোজাম্মেল ও নবাগত মনিরের নেতাকর্মীরা বিবাদে জড়ায়। স্লোগান পাল্টা স্লোগান থেকে হাতাহতি, একপর্যায়ে একে অপরকে চেয়ার ছুঁড়ে মারে। এ সময় দুই গ্রুপের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়। ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা। তাদের থামাতে মঞ্চ থেকে বারবার আহ্বান করা হয়। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়। পরে মঞ্চের নির্দেশনায় মোজাম্মেল ও মনির মাঠে নেমে এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
দলীয় সংগীত চলাকালে ক্ষুব্ধ হয়ে খেলাফত মজলিশের নেতা-কর্মীরা মঞ্চের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারে। সাউন্ডবক্সে চেয়ার মেরে গান বাজনা বন্ধ করে দেয়। এ সময় আরেক দফা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে ইসলামী ফ্রন্টের সাংস্কৃতিক কাফেলা নাত পরিবেশনা করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
সরেজমিনে দেখা যায়,আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর পরেই কর্মীদের মনোরঞ্জন করতে বিভিন্ন শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সঙ্গীত শুরুর পরেই খেলাফত মজলিসের কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সমাবেশে প্রবেশ করার সময় গান থামানোর জন্য চিৎকার শুরু করে। কিন্তু গান থামানো না হলে তারা স্পিকার ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে। এর পরেই খেলাফত মজলিসের কর্মীদের তীব্র আপত্তির মুখে সমাবেশে সঙ্গীত বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ইসলামী ফ্রন্টের সাংস্কৃতিক কাফেলা নাত পরিবেশনা করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
মহাসমাবেশের মূল বক্তা ছিলেন জাপার চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ।
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন রাজু, নুরুল ইসলাম নুরু, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্ম রাজু, আশরাফ সিদ্দিকী ও ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব সওম আব্দুস সামাদ এর যৌথ পরিচালনায় মহাসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান, দলটির মহাসচিব এম এ মতিন, সংসদ সদস্য কাজী ফিারোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাহিদুর রহমান টেপা, প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, ফখরুল ইমাম, এস এম ফয়সল চিশতী, শেখ সিরাজুল ইসলাম, সালমা ইসলাম, আবুল কাসেম, এম এ সাত্তার মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, লিয়াকত হোসেন খোকা, সোলায়মান।