‘পদক্ষেপ না নিলে নারী সমাজ ক্ষুব্ধ হতেন’
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার কারণ হচ্ছে কোর্ট যখন একটা ওয়ারেন্ট দেয়, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমার মনে হয় যে বাংলাদেশের নারী সমাজ ক্ষুব্ধ হতেন এবং এ রকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ শ্লীলতাহীন বক্তব্য দেওয়ায় উৎসাহ দেওয়া হতো।’
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সেজন্য মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আদালত দেওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক আরো বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট গঠন করার আগে থেকেও তিনি কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে টক শোতে অনেক কথা বলতেন। তখন কিন্তু আমরা তাঁকে গ্রেপ্তার করি নাই।’
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির মানহানির মামলার কারণে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান আনিসুল হক।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের প্রকাশক ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম জানান, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে মানহানিকর উক্তির অভিযোগে রংপুরে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এ মামলায় পুলিশ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জেএসডির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
আজ দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ব্যারিস্টার মইনুলকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
গত ১৬ অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকা, ভোলা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর ও কুড়িগ্রামে একটি করে এবং কুমিল্লায় দুটি মামলা করা হয়। এসব মামলার মধ্যে ঢাকা, জামালপুর ও কুড়িগ্রামের মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল।