সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে : ড. কামাল
জেল, জুলুম আর অত্যাচার নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার চরম স্বৈরাচারের পরিচয় দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিনা কারণে কেন এ সরকার এগুলো করছে? মাথা খারাপ হয়ে গেছে এদের। আমি মনে করি মাথা খারাপ হয়ে গেছে এদের।’
ড. কামাল আরো বলেন, ‘সংবিধানে আছে দেশ শাসন করার সময় যাদের মাথা খারাপ হয়ে যায় তাদের ইমিডিয়েটলি পরীক্ষা করাতে হয়।’
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, ‘চরম স্বৈরতন্ত্রের পরিচয় তোমরা দিয়ে যাচ্ছ। যা ইচ্ছা তাই করতে পার, এটা গণতন্ত্র না।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মানহানির মামলায় জামিন নেওয়ার পরও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সরকারের ইন্ধনে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
কামাল হোসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনি (আইনমন্ত্রী) একজন আইনজীবী। আপনার বাবা মরহুম সিরাজুল ইসলাম একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ছিলেন। আপনার কাছ থেকে মানুষ এসব আশা করে না। আপনি সংবিধান পড়ুন, আইনের বই পড়ুন।’
ড. কামাল আরো বলেন, ‘আপনি ভালো করে জানেন, মানহানির মামলা জামিনযোগ্য অপরাধ। তারপরও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কেন কারাগারে নেওয়া হলো?’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দেওয়া সাত দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন নাই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নাই। এই সরকারের বিরুদ্ধে আজ সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ।’
সিলেট থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত চলমান থাকবে বলেও এ সময় জানান তিনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চলমান আন্দোলনের কারণে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে এ সময় বিএনপি নেতা এবং সিনিয়র আইনজীবীরা অবিলম্বে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘যতই চেষ্টা করুক না কেন এ সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ মাঠে নামবে। সরকারকে বাধ্য করবে সংলাপে আসতে। আর যদি সমঝোতায় না আসে রাজপথ ছাড়া আমাদের বিকল্প থাকবে না।’
জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আমিনুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।