‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটির সংশোধন আপাতত হচ্ছে না’
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে মূলত সাইবার সিকিউরিটির জন্য। এতে মানুষের মৌলিক ও বাক স্বাধীনতার অধিকার খর্ব হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। আইনটির সংশোধন আপাতত হচ্ছে না।’
আজ রোববার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। এটা শুধু অপরাধের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তা ছাড়া সংসদের অধিবেশন চলবে আর মাত্র একদিন। এ সময়ে এ আইন সংশোধন সম্ভব নয়।’
জামিনযোগ্য ধারার মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। আদালত এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করছে না। সংবিধান সমুন্নত রেখেই সরকার দায়িত্ব পালন করছে।’
নির্বাচন কমিশনের জনপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিষয়ে আইন মন্ত্রী বলেন, ‘আরপিও সংশোধনের আর সুযোগ নেই। এটি সংশোধনের আগে মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করতে হবে। আগামীকাল জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভার নির্দেশনা চাওয়া হবে।’
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে শ্রমিকদের টানা ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের শুরুর দিন সাধারণ মানুষের সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন এখন আর সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই।’
দুপুর ১২টার দিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এই সরকারের হাতে যে সময় আছে, তাতে সড়ক পরিবহন আইনটি আর সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। শ্রমিক নেতারা আইনটি ভালোভাবে না পড়েই আন্দোলনে নেমেছেন।’
আনিসুল হক আরো বলেন, ‘আগামীকাল সোমবার বর্তমান জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ হচ্ছে। ফলে এই সময়ের মধ্যে আইনটি সংশোধনের আর কোনো সুযোগ নেই।’