মিনায় পদদলিত হয়ে নিহতদের তিনজন শরীয়তপুরের
সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে নিহতদের মধ্যে শরীয়তপুরের তিনজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন এম এ রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী হাসিনা আক্তার এবং আহম্মদ আলী।
এই দম্পতির গ্রামের বাড়ি জেলার জাজিরা উপজেলার জাজিরা ইউনিয়নের ভানুমুন্সীর কান্দি গ্রামে। তাঁরা ঢাকার ধানমণ্ডিতে থাকতেন। আর আহম্মদ আলীর বাড়ি গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের চরধীপুর গ্রামে।
রাজ্জাকের ছেলে রুবায়েত আদনান মুঠোফোনে এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, ‘হজ এজেন্সি ও সৌদি আরবে অবস্থানরত স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, আমার বাবা-মা মারা গেছেন। আরবের পুণ্যভূমিতেই তাঁদের দাফন হবে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে রুবায়েত আরো বলেন, ‘সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকার এখনো সরকারিভাবে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। আমাদের পরিবারের সদস্যদের এখন পর্যন্ত লাশ দেখানো হয়নি। আমরা লাশ দেখতে চাই।’
সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৪ সালে রংপুর জেলখানা থেকে অবসরে নেন রাজ্জাক। এর পর তিনি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কনসালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। পারিবারিক জীবনে তিনি ছয় সন্তানের জনক, যার মধ্যে দুই ছেলে ও চার মেয়ে। এ বছর স্ত্রী হাসিনাকে নিয়ে তিনি হজ পালনের উদ্দেশে তৈয়্যবা ট্যুর সেন্টার হজ এজেন্সির মাধ্যমে ৩ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবে যান।
আহম্মদ আলীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাগ্নে মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি জানান, আহম্মদ আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। তিনি খিলক্ষেত ট্যুরস অ্যান্ড ট্যুরিজম হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজে যান। তাঁর কোনো সন্তান নেই।