বৃহস্পতিবারই তফসিল চায় জাতীয় পার্টি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আগামীকাল বৃহস্পতিবারই চায় জাতীয় পার্টি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোটের প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিলের তারিখ ৮ তারিখেই করা হোক। আমরা যত দূর জানি আজকের পর কোনো সংলাপ হবে না। সুতরাং সংলাপের অজুহাত দিয়ে কমিশনের কাছে তারিখ পেছানোর দাবির কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।’
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখতে হবে দাবি করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে জনগণের মাঝে দ্বিধা সন্দেহ রয়েছে। আধুনিক ভোটের পদ্ধতি হলেও ইভিএম ব্যবহারে এখনো অভ্যস্ত না। এটা ব্যবহারে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য আরো সময়ের প্রয়োজন হবে।’
রুহুল আমিন আরো বলেন, ‘সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে এবং নিশ্চয়তা দিতে হবে তারা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন নিশ্চিত করবেন। সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন করতে হবে। তাঁরা অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। আমরা আট দফা নিয়ে বক্তব্য রেখেছি।’
নির্বাচনের মনোনয়ন সহজ করার প্রস্তাব করেছেন উল্লেখ করে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘নির্বাচনে কলো টাকার প্রভাবমুক্ত করতে হবে। নির্বাচনের সময় যাতে কোনোভাবেই অস্ত্রের ব্যবহার না হয় তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনী প্রচারকালে সংঘাত বা সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মোটরসাইকেল বা গাড়ি বহরের ব্যবহার সীমিত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাপার মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এম এ সাত্তার, জিয়াউদ্দিন বাবলু, দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মশিউর রহমান রাঙ্গা, মুজিবুর হক চুন্নু, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক ও বিএনএ চেয়ারম্যান সেকান্দার আলী মনি।