মানহানির মামলায় জামিন পেলেন মির্জা ফখরুল
মানহানির একটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার মহানগর হাকিম ইউনুছ খানের আদালতে তাঁর আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদিন মেজবা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
সকাল ১০টায় মির্জা ফখরুল জামিন নেওয়ার জন্য ঢাকার মহানগর হাকিম ইউনুছ খানের আদালতে হাজির হন।
তাঁর আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদিন মেজবা এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে ‘খুনি’ বলে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ফখরুলের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেন বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি নূর-ই-আলম-সিদ্দিক।
ওই দিন ঢাকা মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
পরে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ঘটনার সত্যতা আছে বলে প্রতিবেদনে দাখিল করে পুলিশ। প্রতিবেদন দাখিলের পর ১৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
গত ২২ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আদালতে হাজির না হওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৪ আগস্ট নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে খুনি, তাঁর দল আওয়ামী লীগ একটি খুনের দল হিসেবে পরিচিত, সারা জাতি ও বিশ্ববাসী তা জানে’ বলে মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুলের ওই বক্তব্যে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে সামাজিক ও আন্তর্জাতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এ জন্য বাদী দণ্ডবিধির ৪৯৯/৫০০ ধারায় বর্ণিত অপরাধে এই মামলা দায়ের করেছেন।