মনোনয়ন জমায় আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়নি : সিইসি
‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। সবাই সুশৃঙ্খলভাবে জমা দিয়েছেন। তাঁরা সাতজনের বেশি লোক নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেননি। বাইরে হয়তো তাঁদের সমর্থক ছিল।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এ মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, ‘প্রার্থীরা রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে আবেদন জমা দিয়েছেন। প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচজনের বেশি লোক ভেতরে গেলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়, কেউ সেটি লঙ্ঘন করেননি। তাঁরা প্রত্যেকেই চারজন, পাঁচজন, ছয়জন, সাতজনের বেশি লোক নিয়ে ভেতরে ঢোকেননি। বাইরে হয়তো তাঁদের কিছু সমর্থক এসেছিলেন।’
‘একজন প্রার্থীর সমর্থক থাকতেই পারে। সেগুলো মোটর শোভাযাত্রা, গাড়িসহ যাত্রা বা শোডাউনের পর্যায়ে পড়ে না।’
প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, একজন প্রার্থী যখন প্রতীক পাবেন, তখন থেকে তাঁকে কোনো দল কিংবা ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করবেন না। তখন তাঁর পরিচয় শুধুই একজন প্রার্থী। সে হিসেবেই আপনারা তাঁকে গণ্য করবেন। নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ রাখার জন্য প্রশিক্ষকদের নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে সিইসি আরো বলেন, ‘এখন বিশ্বাস করার সুযোগ ও সময় এসেছে যে এই দেশে যাঁরা রাজনীতি করেন, যাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, তাঁরা নির্বাচনের আইন, আচরণবিধি মান্য করবেন। এবং আপনারা মাঠপর্যায়ে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করার মাধ্যমে তাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। আমি বিশ্বাস করি এবং আস্থা রাখি, সে রকম একটা পরিবেশ দেশে সৃষ্টি হয়েছে। সেটাকে সামনে রেখে আপনাদের কারণে যেন তাঁদের আশা এবং প্রত্যাশা কখনো ব্যাহত না হয়। সে দিকটা লক্ষ রেখে আপনাদের দায়িত্ব হবে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের জানানো এবং বোঝানো।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা যেটা আশা করেছিলাম যে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে, আমাদের সে আশা পূর্ণ হয়েছে। আশা করেছিলাম, প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে, সে প্রত্যাশা পূর্ণ হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে, সেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।’
প্রশিক্ষণ সম্পর্কে সিইসি বলেন, ‘আমাদের প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হবে। এখন প্রশিক্ষণ পাওয়া ব্যক্তিরা মাঠে গিয়ে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করলে নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে, অবশ্যই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে, অবশ্যই নির্বাচনে ভোটারদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে বলে আমি বিশ্বাস করি, আশা করি।’