‘কর্মীরা পলাতক, গ্রেপ্তার, এজেন্ট পাব কি না জানি না’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা এখন পলাতক। আমরা বলতে পারছি না, আমরা কোনো জায়গায় নির্বাচনের জন্য এজেন্ট খুঁজে পাব কি না। কারণ, পুলিশের ভয়ে অনেকে পলাতক। এ বিষয়গুলো আমরা কমিশনকে জানালাম।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘তফসিলের পর গ্রেপ্তার হবে না বললেও এখন প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার হচ্ছে। অজ্ঞাতনামা দিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে আটক করা হচ্ছে। এই অজ্ঞাতনামা জানতে চাইলে পুলিশ বলছে, তাদের নামে আগে থেকে মামলা ছিল। তারা নিজেরাই এগুলো করছে।’
‘আমরা মনে করি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অসহায়। সিইসি বিব্রত বোধ করছেন, এটা সত্যি। কারণ, তিনি কিছু করতে পারছেন না,’ যোগ করেন সেলিমা রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘হামলার ঘটনায় কমিশন বিব্রত।’
সিইসির এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই সেলিমা রহমান এসব কথা বলেছেন। এর আগে আজ দুপুরে তাঁর নেতৃত্বে বিএনপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
বেরিয়ে এসে সেলিমা রহমান আরো বলেন, ‘তবুও আমরা আশা রাখি, সিইসি যেহেতু এবার একটি সুযোগ পেয়েছেন, তিনি যদি সঠিকভাবে পদক্ষেপ নেন, তাহলে কিন্তু আমরা এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হিসেবে প্রমাণ করতে পারব। সিইসি আমাকে বলেছেন, আমি (সিইসি) চেষ্টা করছি। কিন্তু পুলিশ বলছে, আগে থেকে যাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে, তাদের আমরা ধরছি। পুলিশ বলছে, তাদের নামে সুনির্দিষ্ট মামলা আছে। সিইসি বলছেন, সেই সুনির্দিষ্ট মামলা কী, সেটা আমি কী করে জানব। আমি চেষ্টা করছি, আমি চেষ্টা করব।’
সেলিমা রহমান আরো বলেন, ‘১০ তারিখ থেকে প্রচার শুরু হয়েছে। প্রচারের পরপরই আমাদের মহাসচিবের গাড়িবহরে আক্রমণ করা হয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রচারে বারবার হামলা করা হচ্ছে। মঈন খানের এলাকায় হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ মিলে এই হামলা করছে। যাঁরা জামিনে আছেন, তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যাঁরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তাঁদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। সকালে ভাটারা থানার একজন কর্মীকে পুলিশ ধাওয়া করে ছাদের ওপর থেকে ফেলে দিলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে। নাটোরে জামিনে থাকা সত্ত্বেও বিএনপি নেতা দুলুকে আটক করা হয়েছে।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘তারা চাইছে, আমরা যেন নির্বাচনে প্রচার চালাতে না পারি, নির্বাচন যেন না করতে পারি। তারা একতরফাভাবে নির্বাচন করতে পারে। সে কারণে এখন ভয়ভীতি, হামলা-মামলাসহ বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি করছে। এবং প্রার্থীদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ করা হচ্ছে। এই ঘটনাগুলো জানাতে আজ আমরা এসেছি। কারণ তিনি বলেছিলেন, আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেব। সবাই সমান সুযোগ পাবে।’