আফরোজা আব্বাসের প্রচারের সময় হামলা
ঢাকা-৯ আসনের বিএনপির প্রার্থী ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের প্রচারের সময় দুই দফা হামলা চালানো হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা ও দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে, প্রচারণার সময় নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন আফরোজা আব্বাসের স্বামী ও ঢাকা-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাস।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান। তবে, আফরোজা আব্বাসের চালকের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন তিনি।
শামসুদ্দিন দিদার জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় নিজের নির্বাচনী এলাকা বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় আফরোজা আব্বাসের ওপর হামলা করা হয়। এরপর দুপুরে মাদারটেক এলাকায় প্রচারণা চালানোর সময়ও হামলার শিকার হন আফরোজা আব্বাস। ছাত্রলীগ নেতারা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আফরোজা আব্বাসের সহকারী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা যখন বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলাম তখন আমাদের ওপর প্রথম হামলা হয়। এমনকি নারীদের গায়েও হাত তোলা হয়। তখন পুলিশকে জানানোর পরও, তারা নীরব ভূমিকা পালন করে। এরপর মাদারটেক এলাকায় প্রচারণা চালাতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা চিত্তরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে আবার হামলা হয়। এ সময় আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া আফরোজা আব্বাসের ড্রাইভারকে ছুরি দিয়ে আহত করা হয়েছে।’
যৌথসভায় আফরোজা আব্বাস ও মির্জা আব্বাস। ছবি : এনটিভি
সন্ধ্যায় শাজাহানপুরের বাসার সামনে যৌথসভার আয়োজন করে হামলার বিষয়ে কথা বলেন আফরোজা আব্বাস ও মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘২০-২৫ জনের মতো ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং মহিলা লীগ ওরা। কিছু ছেলেপেলে ওখানে দাঁড়ানো। প্রায় ৪০/৫০ জনের মতো প্রশাসনের লোক। মানে ওদের সহায়তায় আসলে হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে।’
অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগ জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘প্রতিপক্ষ এখন মনে হচ্ছে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, পুলিশ বাহিনীও সম্ভবত প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে। আমরা পুলিশকে প্রতিপক্ষ ভাবি না। আওয়ামী লীগকেও আমরা প্রতিপক্ষ ভাবি না। আমরা ভাবি, তাঁরা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনের। সমান সুযোগ আশা করেছিলাম। কিন্তু সেটা হলো না। ’
ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাসের প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট প্রার্থী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সন্ধ্যায় আব্বাসের অভিযোগের উত্তর দেন মেনন।
মেনন বলেন, ‘আমরা বরঞ্চ উল্টো অভিযোগ করি। যে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই সন্ত্রাস শুরু করেছে। তারা পুলিশের গাড়ি পুড়িয়েছে। পাবলিকের গাড়ি পুড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চোখ বন্ধ করে রাখতে পারে না।’
এর আগে গতকাল নির্বাচনী প্রচারণায় নামার আগে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন আফরোজা আব্বাস ও মির্জা আব্বাস। সম্মেলনে মির্জা আব্বাস জানান, চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। তাদের বাসায় কোনো আত্মীয়স্বজন আসতে পারছেন না বলেও তাঁরা জানিয়েছিলেন।