শিশু রাকিবের মৃত্যু দুর্ঘটনাবশত!
খুলনার আলোচিত শিশু রাকিব হত্যা মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাকিব হত্যার বিচার শুরু হলো।
আজ সোমবার দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলরুবা সুলতানা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান এবং আগামী ১১ অক্টোবর থেকে পরপর পাঁচ দিন সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। এই সময় আসামি মো. শরিফ, মিন্টু খান ও বিউটি বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বেলা দেড়টার দিকে এই মামলার কার্যক্রম শুরু হলে তিন আসামির পক্ষে তাঁদের আইনজীবী তৌহিদুর রহমান তুষার দাবি করেন, আসামিরা স্বেচ্ছায় এই ঘটনায় জড়িত নন। তিনি যুক্তি দেখান, দুর্ঘটনাবশত এই ঘটনা ঘটেছে এবং এই কারণে এই মামলায় ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন যুক্তি সঙ্গত নয়। তিনি দাবি করেন, আসামিরা রাকিবকে হত্যার জন্য এই ঘটনা ঘটাননি।
পরে সরকারি কৌঁসুলি সুলতানা রহমান শিল্পী আসামিপক্ষের কৌঁসুলির যুক্তি খণ্ডন করে বলেন যে, কমপ্রেসারের হাওয়া যানবাহনের টায়ারে দেওয়া হয়, সেই কমপ্রেসারের হাওয়া মলদ্বারে ঢুকিয়ে নির্মমভাবে রাকিবকে হত্যা করা হয়েছে। যার দায় কোনোভাবেই আসামিরা এড়াতে পারেন না এবং এই হাওয়া পেটে দিলে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেই আসামিরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
উভয়পক্ষের যুক্তি শেষে বিচারক দিলরুবা সুলতানা তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান এবং পরে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। পরে তিনি মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির স্বার্থে ১১ অক্টোবর থেকে টানা পাঁচদিন সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
গত ৩ আগস্ট খুলনার টুটপাড়ায় মো. শরিফ মটরসে শিশু রাকিবকে ধরে এনে তার মলদ্বারে কমপ্রেসারের হাওয়া দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই সময় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মো. শরিফ ও মিন্টু খানকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ পরে মো. শরিফের মা বিউটি বেগমকে আটক করে। বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হলে গত ২৫ আগস্ট পুলিশ গ্রেপ্তার তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।