রোববার থেকে ২০ দলের ৭২ ঘণ্টার হরতাল
টানা অবরোধের মধ্যে এবার ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। আগামী রোববার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এ হরতাল পালন করা হবে। আজ শুক্রবার বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সোমবার থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ জন্য অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, তাঁকে (খালেদা জিয়া) মুহুর্মুহু গ্রেপ্তারের হুঁশিয়ারি এবং আন্দোলন দমনে পুলিশকে যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশের প্রতিবাদে এ হরতাল ডাকা হয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়, সরকারের মদদে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের বাসায় গুলি, তরিকুল ইসলামের বাসায় বোমা নিক্ষেপ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও সাংবাদিক শফিক রেহমানের বাসায় বোমা হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমানকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি করে গুরুতর জখম করা হয়েছে। বিএনপির আরেক উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, অবরোধ চলাকালে প্রায় ২১ জন নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবাদে এ হরতাল ডাকা হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সারা দেশে ১৫ হাজারের বেশি বিএনপি ও জোটের নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের, সরকারি এজেন্ট দিয়ে পেট্রলবোমা মেরে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে নাশকতা সৃষ্টির পর দায় আন্দোলনকারীদের ওপর চাপানো হচ্ছে। প্রতিবাদে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ হরতাল ডাকা হয়েছে।
বিবৃতিতে বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৭২ ঘণ্টার হরতাল পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।